আজ নতুন একটা টিউশানিতে যাবে Lui বেতব খুব একটা খারাপ নয়, কনফার্ম হলে ২০০০.০০ টাকা। তাই তার মনটা আজ উৎফুল্ল । বিকেল যখন ৪ টা বেজে ১৫ তখন একটা জিন্স আর টি শার্ট গায়ে দিয়ে রওনা হল বংশালের দিকে। বেশি ঘুরতে হল না ৬২ নং বাসাটা খুঁজে বের করতে। ৩ তলা বাম পাশে ফ্লাটের ডোর বেল বাজাতে গেট খুলে দিল গৃহকর্মী।
- কাকে চাই ?
- এটা কি আকলিমা বেগমের বাসা ?
- হুম।
- আমি Lui
- ও আচ্ছা আপনি ভেতরে বসুন আমি খালাম্মাকে ডেকে দিচ্ছি।
ড্রইং রুমটা Simple এবং সাজানো গুছানো। দক্ষিনের দেয়ালে একটা ফুলের ছবি টাঙ্গানো। শুকনো ফুল। ফুলটার খুব পরিচিত কিন্তু নামটা মনে আসছে না। ছবিটার গায়ে একটা লেখা আছে ...
“যখন কাউকে কিছু দিবে তার বিনিময়ে কিছু পাবার আশা করো না।”
এমন সময় আকলিমা বেগম তার ফুটফুটে মেয়েটিকে নিয়ে রুমে ঢুকলেন। আকলিমা বেগম দেখতে Smart মাগার হাসলে উনার দাঁতগুলো গোলান্দের তরমুজের বিচির মত দেখায়। হাসিমুখে আমাকে দেখিয়ে বললেন এটা তোমার টিচার সালাম দাও।
-সালামুআলিইকুম।
-কি নাম তোমার।
- ভাঙা ভাঙা স্বরে জবাব দিল অনামিকা।
-তোমার বাবার নাম কি আম্মু ?
-পাতদিন। (আকলিমা বেগম সাথে বললেন ফারদিন)
পিচ্চিটা খুব Sweet ভাবে কথা , ভালো লাগলো Lui এর। আর আকলিমা বেগমের কথায় রীতিমতো মুগ্ধ হলেন Lui. । তিনি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে থেকে পড়াতে আসতে বললেন।
Lui তার দায়িত্ব খুব ভালো ভাবেই পালন করতে লাগলেন। একদিন Lui অনামিকাকে পড়ানো শেষ করে ঘর থেকে বের হবার পথে একটা মেয়েকে দেখল। ফর্সা ... নাকটা বোচা বোচা টাইপ মাগার বোচা না। চুলগুলো লম্বা এবং একটু কারলি। মাগার সাইজে একটু টুইনা I mean খাটো। Lui দেখে না দেখার ভান করে চলে গেল। পরদিন পড়াতে এসে জানতে পারল মেয়েটি অনামিকার খালা দুইদিনের জন্য তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে। আগ বাড়িয়ে অনামিকা নামটা বলে ফেলল Lui কে । Lui যখন অনামিকাকে পড়াচ্ছিল, তখন Lui কে পর্দার আড়াল থেকে ফলো করছিল। Lui ব্যাপারটা খেয়াল করল আর অস্বস্তিবোধ করতে লাগল।
৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধার দিকে Lui এর মোবাইলে একটা কল আসল।
-হ্যালো কেমন আছেন ? (ওপাশ থেকে মেয়ের কণ্ঠ শোনা গেল)
-হুম ভালো। আপনি কেমন আছেন ?
-আমি ভালো আছি। কি করছেন ?
-আপনার সাথে কথা বলি। (Lui বুজতে পারছিল না মেয়েটি কে ? তবুও কথা চালিয়ে যাচ্ছিল)
-একটা হাসি দিয়ে বলল আপনি কি আমায় চিনতে পেরেছেন?
-চিনতে পারব না কেন ?
- বলুনতো আমি কে ?
-আপনি হইলেন বাংলার নারী।
এমন সময় ই লাইনটা কেটে গেল।
Lui রাতে চিন্তা করতে লাগল মেয়েটা কে হতে পারে ?
তার Relative ?
University Friend ?
কে কে ? Who is she ?
মুহুতের মাঝে আবিস্কার করে ফেলল মেয়েটা অনামিকার খালা। মেয়েটার কি নাম যেন বলল ...
কি নাম... কি নাম ... হুম LiyA.
১২ টা বেজে ৫ মিনিট । মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠল ।
( ধাক ধাক কারনে লাগা – এটা Lui এর রিংটোন)
অই একই নাম্বার থেকে ফোন।
-Sorry. Mobile এ Balance শেষ হওয়ার কারণে ফোন কেটে গিয়েছিল।
-No Problem বলল Lui.
-এখন বলুন আমি কে ?
- Lui হাসতে লাগল।
- হাসেন কেন ?
- না মানে আজ প্রথম শুনলাম ফোন করে নিজের পরিচয় জানে আমি কে?
-উফ। এখন দানাই পানাই না করে বলে ফেলুন আমি কে ?
-আপনি হলেন LiyA.
(মেয়েটা বিস্ময়ে চুপ থাকল কিছুক্ষন, সেই সাথে ধরা খাওয়ার লজ্জাও পেল।)
-মেয়েটি বলল আমাকে কিভাবে চিনলেন ?
- সব ই Calculas.
-মানে ?
- মানে অসম্ভবকে সম্ভাব করা যদি জলিল মিয়ার কাজ হয়... তাহলে জলিল মিয়া যার মারফত কাজ হাসিল করে উনি হইলাম আমি।
মেয়েটা অনেক্ষন হাসল।
Lui এর কেন জানি মনে হল LiyA এমন করে অনেকদিন হাসে নাই।
LiyA বলল আপনি তো খুব Funny Public.
Lui: ছোট বেলায় পানি বেশি খাইতাম তাই Funny হইসি।
LiyA: হয়েছে আপনার সাথে কথায় পাড়া যাবে না। এখন ঘুমান আর অনেক রাত হয়েছে।
Lui: ঠিক আছে আপনিও ঘুমান। Good Night.
LiyA: Good Night.
ki comment korbo?
ReplyDelete